আমিও বাবা হবো
আমিও বাবা হবো
ঘুম থেকে জেগে দেখলাম বউ পাশে নাই।
বেপার কি? বিয়ের আগে মোবাইল খুজতাম। আর এখন বউ খুজি। একটু পরে রান্না ঘরে গিয়ে বউ কে পেলাম। গিয়ে পিছন থেকে বউ কে জড়িয়ে ধরলাম। বউ বলল
-সকাল সকাল শুরু করলে।
-কি শুরু করলাম।
-যাও।পাগলামি করো না। হাতমুখ ধুয়ে আসো।আমি নাস্তা রেডি করছি।
-একটু পরে যাই।তোমার কাছে একটু থাকি।
-আমার পাশে বেশি থাকলে মানুষ বউ পাগল বলবে।
-বউ পাগল বলবে কেন? আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। সবসময় তোমার পাশে থাকতে আমার ভাল লাগে।
-আচ্ছা থেকো। নিষেধ করছি না। এখন হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করতে এস।
-আচ্ছা যাচ্ছি।
-যাও।
-একটা কথা।
-কি?
-আই লাভ ইউ।
-আই লাভ ইউ টু।
হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করে অফিসে যাচ্ছিলাম। একটু পরে বউ আসলো।আজকে অনেক সুন্দর ভাবে সেজেছে। আমি বললাম
-আজকে একটা জিনিস খেতে ভুলে গেছি
-কি জিনিস?
-লিপস্টিক খাবো।
-অফিসে যাও। দুষ্টামি করো না।
-না। খাবই।না হলে অফিসে যাবো না।
-আচ্ছা। একবার কিন্তু।
-আচ্ছা।
-এখন যাও।
-বায়।
-এই দারাও।
-কি
-তোমার ঠোটে তো লিপস্টিক লেগে আছে। আসো মুছে দেই।
-না। থাক। ভালই লাগছে
-মানুষ দেখলে কি বলবে?
-কি আর বলবে?
-মানুষ অনেক কিছু বলবে।
-আচ্ছা মুছে দাও।
-আসি।
-আজ তারাতারি ফিরবে। তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে।
-কি সারপ্রাইজ?
-আসলেই দেখতে পারবে।
-যেতে ইচ্ছে করছে না। সারপ্রাইজ টা কি বলো।
-যাও। নাহলে সারপ্রাইজ টা জানবে না।
-সাবধানে যেও।
অফিসে চলে গেলাম। অফিসে গিয়ে একটু পরেই আমার কলেজ লাইফের বান্ধবি ফোন করলো। ফোন করে বলল
-কি রে কেমন আছিস?
-ভালই আছি। তুই?
-আমিও ভাল আছি। তোর তো ভাল থাকার কথা। কারন যে বউ পাইছিস?
-হ্যা। দেখতে হবে বউ টা কার?
-অত ভাব মাইরো না। তোমার বউ কে পেতে সাহায্য করলো কে?
-তুই সাহায্য করেছিস। সেইদিন যদি আমার প্রশংসা করে। তারপরে পাম পট্টি না মারতি।তাহলে হত না।
-তুই তো জেরিন কে তোর ভালবাসার কথা বলতেই পারতি না। কথা হারিয়ে ফেলতি।
-আরে তুই তো জানতি আমি সবার সামনে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু জেরিনের সামনে গেলে কথস হারিয়ে ফেলতাম।
-বউ পেয়ে কি আমার কথা তো ভুলেই গেছিস।
-কি বলিস? তোকে ভুলবো কেন?তুই আমার আপন বান্ধবি।
-তাতো জানি ই।
- তোর কি খবর? এখন ও সিংগেল আছিস?
-নাহ। কয়দিন পরে ডাবল হবো।
-তাই নাকি? তুই তাহলে শেষে প্রেম করছিস?
-তুই প্রেম করতে পারলে আমি পারবো না কেন?
-আমি তো কয়েকদিন পরেই বিয়ে করলাম। তুই কি করবি?
-আমিও বিয়ে করবো।
-কতদুর এগিয়েছিস? আমাকে জানাস।
-তোকে তো অবশ্যই জানাবো।তুই আমার সেরা বন্ধু।
-হ্যা। জানাস।
-এখন তোর বউ এর কেয়ার করিস।
-আমি তো সবসময় ই বউ এর কেয়ার করি।
-এই সময় বেশি কেয়ার করবি।ভারি কাজ করতে দিবি না।
-কেন কি হয়েছে জেরিনের?
-আরে গাধা তুই বাবা হতে চলেছিস।
-বলিস কি!!আমি তো জানি না।
-কালকে তোর বউ আমার এখানে এসেছিল।
-তো আগে বলিস নি কেন?
-বলতে নিষেধ করেছিল তোর বউ। তবুও বলে দিলাম। তুই তো জানিস আমার লেটে কথা জমা থাকে না।
-তাহলে কি এটাই আমার সারপ্রাইজ?
-হতে পারে।
-আমি আমার বউ কে সারপ্রাইজ দিবো।
-আচ্ছা। আর আমার মিষ্টি কই?
-আরে মিষ্টির দোকান ধরেই তোকে খাওয়াবো।আমার অনেক আনন্দ লাগাছে।
-আচ্ছা। মিষ্টি পরে খাবো। তোর বউ এর খেয়াল করিস।
-আচ্ছা।বায় দোস্ত।
-বায়।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ২ টা বাজে। তারাতারি অফিস থেকে বেড় হলাম। অফিস থেকে বের হয়ে অনেকগুলো ফুল কিনলাম। তারপরে গাড়ি নিয়ে বাসায় গেলাম। বাসায় গিয়ে কলিং বেল চেপে আরালে লুকিয়ে গেলাম।
বউ দরজা ঘুলে দেখলো কেউ নাই। বাইরে এসেই দেখলো কেউ নাই।আমি এই সুযোগে ঘরে ঢুকে গেলাম। বউ দরজা বন্ধ করে ঘরে ঢুকতেই পিছন থেকে বউ জড়িয়ে ধরলাম। বউ চমকে উঠলো। বলল
-তুমি!!! এই সময়ে বাসায় কেন?
-আমার বউ কে দেখতে ইচ্ছে করলো তাই চলে আসলাম।
-তাই এই সময়ে?
-তো কি হয়েছে।আজ একসাথে লানচ করবো।
-তুমি টেবিলে বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি।
-আমি নিয়ে আসছি।এখন থেকে তুমি কোন কাজ করবে না।
-আমি কাজ না করলে কে কাজ করবে?
-আমি কাজ করবো।
-কেন তুমি কাজ করবে?
-কারন তুমি কাজ করলে বাবুটার ক্ষতি হতে পারে।
-কিসের বাবু?
-কারন আমি বাবা হতে চলেছি।
-তোমাকে কে বলল?
-ভাবছ তুমি না বললে জানতে পারবো না?লিমা আমাকে ফোন করে সব বলেছে।
-কি!!! আগেই বলে দিয়েছে?আমি তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারলাম না।ওকে পাই কাছে ওর খবর আছে।
-ওর খবর করতে হবে না।
বলে ফুল গুলো হাতে নিয়ে হাটু গেড়ে রোমান্টিক ভাবে বউ কে ফুলগুলো দিয়ে বললাম
-আই লাভ ইউ।
-বাহ এত রোমান্টিক হয়ে?
-হ্যা। আমি তো তোমার জন্যই রোমান্টিক হবো।
-আই লাভ ইউ টু।
-তোমাকে চুমু খেতে ইচ্ছে করছে।
-এখন না।এখন থেকে বাবু দেখবে। তাই যখন তখন চুমু খাবে না।বাবু কি ভাববে?
-বাবু ভাববে তার বাবা অনেক রোমান্টিক। আর তার মা কে অনেক ভালবাসে।
-তাই। তাহলে আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরছি।
-হুম।
বউ আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপরে খেয়ে সারাদিন অনেক ঘুরলাম। অনেক ভাল লাগছে। ছোট বেলায় যখন কাউকে দেখতাম বাবা হওয়ার কথা শুনে খুশি হয়েছে।
আমি তখন ভাবতাম "বাবা হওয়ার আবার আনন্দ আছে?"
কিন্তু এখন দেখছি বাবা হওয়ার অনেক আনন্দ।এত আনন্দ লাগে কেন?
ঘুম থেকে জেগে দেখলাম বউ পাশে নাই।
বেপার কি? বিয়ের আগে মোবাইল খুজতাম। আর এখন বউ খুজি। একটু পরে রান্না ঘরে গিয়ে বউ কে পেলাম। গিয়ে পিছন থেকে বউ কে জড়িয়ে ধরলাম। বউ বলল
-সকাল সকাল শুরু করলে।
-কি শুরু করলাম।
-যাও।পাগলামি করো না। হাতমুখ ধুয়ে আসো।আমি নাস্তা রেডি করছি।
-একটু পরে যাই।তোমার কাছে একটু থাকি।
-আমার পাশে বেশি থাকলে মানুষ বউ পাগল বলবে।
-বউ পাগল বলবে কেন? আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। সবসময় তোমার পাশে থাকতে আমার ভাল লাগে।
-আচ্ছা থেকো। নিষেধ করছি না। এখন হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করতে এস।
-আচ্ছা যাচ্ছি।
-যাও।
-একটা কথা।
-কি?
-আই লাভ ইউ।
-আই লাভ ইউ টু।
হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করে অফিসে যাচ্ছিলাম। একটু পরে বউ আসলো।আজকে অনেক সুন্দর ভাবে সেজেছে। আমি বললাম
-আজকে একটা জিনিস খেতে ভুলে গেছি
-কি জিনিস?
-লিপস্টিক খাবো।
-অফিসে যাও। দুষ্টামি করো না।
-না। খাবই।না হলে অফিসে যাবো না।
-আচ্ছা। একবার কিন্তু।
-আচ্ছা।
-এখন যাও।
-বায়।
-এই দারাও।
-কি
-তোমার ঠোটে তো লিপস্টিক লেগে আছে। আসো মুছে দেই।
-না। থাক। ভালই লাগছে
-মানুষ দেখলে কি বলবে?
-কি আর বলবে?
-মানুষ অনেক কিছু বলবে।
-আচ্ছা মুছে দাও।
-আসি।
-আজ তারাতারি ফিরবে। তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে।
-কি সারপ্রাইজ?
-আসলেই দেখতে পারবে।
-যেতে ইচ্ছে করছে না। সারপ্রাইজ টা কি বলো।
-যাও। নাহলে সারপ্রাইজ টা জানবে না।
-সাবধানে যেও।
অফিসে চলে গেলাম। অফিসে গিয়ে একটু পরেই আমার কলেজ লাইফের বান্ধবি ফোন করলো। ফোন করে বলল
-কি রে কেমন আছিস?
-ভালই আছি। তুই?
-আমিও ভাল আছি। তোর তো ভাল থাকার কথা। কারন যে বউ পাইছিস?
-হ্যা। দেখতে হবে বউ টা কার?
-অত ভাব মাইরো না। তোমার বউ কে পেতে সাহায্য করলো কে?
-তুই সাহায্য করেছিস। সেইদিন যদি আমার প্রশংসা করে। তারপরে পাম পট্টি না মারতি।তাহলে হত না।
-তুই তো জেরিন কে তোর ভালবাসার কথা বলতেই পারতি না। কথা হারিয়ে ফেলতি।
-আরে তুই তো জানতি আমি সবার সামনে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু জেরিনের সামনে গেলে কথস হারিয়ে ফেলতাম।
-বউ পেয়ে কি আমার কথা তো ভুলেই গেছিস।
-কি বলিস? তোকে ভুলবো কেন?তুই আমার আপন বান্ধবি।
-তাতো জানি ই।
- তোর কি খবর? এখন ও সিংগেল আছিস?
-নাহ। কয়দিন পরে ডাবল হবো।
-তাই নাকি? তুই তাহলে শেষে প্রেম করছিস?
-তুই প্রেম করতে পারলে আমি পারবো না কেন?
-আমি তো কয়েকদিন পরেই বিয়ে করলাম। তুই কি করবি?
-আমিও বিয়ে করবো।
-কতদুর এগিয়েছিস? আমাকে জানাস।
-তোকে তো অবশ্যই জানাবো।তুই আমার সেরা বন্ধু।
-হ্যা। জানাস।
-এখন তোর বউ এর কেয়ার করিস।
-আমি তো সবসময় ই বউ এর কেয়ার করি।
-এই সময় বেশি কেয়ার করবি।ভারি কাজ করতে দিবি না।
-কেন কি হয়েছে জেরিনের?
-আরে গাধা তুই বাবা হতে চলেছিস।
-বলিস কি!!আমি তো জানি না।
-কালকে তোর বউ আমার এখানে এসেছিল।
-তো আগে বলিস নি কেন?
-বলতে নিষেধ করেছিল তোর বউ। তবুও বলে দিলাম। তুই তো জানিস আমার লেটে কথা জমা থাকে না।
-তাহলে কি এটাই আমার সারপ্রাইজ?
-হতে পারে।
-আমি আমার বউ কে সারপ্রাইজ দিবো।
-আচ্ছা। আর আমার মিষ্টি কই?
-আরে মিষ্টির দোকান ধরেই তোকে খাওয়াবো।আমার অনেক আনন্দ লাগাছে।
-আচ্ছা। মিষ্টি পরে খাবো। তোর বউ এর খেয়াল করিস।
-আচ্ছা।বায় দোস্ত।
-বায়।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ২ টা বাজে। তারাতারি অফিস থেকে বেড় হলাম। অফিস থেকে বের হয়ে অনেকগুলো ফুল কিনলাম। তারপরে গাড়ি নিয়ে বাসায় গেলাম। বাসায় গিয়ে কলিং বেল চেপে আরালে লুকিয়ে গেলাম।
বউ দরজা ঘুলে দেখলো কেউ নাই। বাইরে এসেই দেখলো কেউ নাই।আমি এই সুযোগে ঘরে ঢুকে গেলাম। বউ দরজা বন্ধ করে ঘরে ঢুকতেই পিছন থেকে বউ জড়িয়ে ধরলাম। বউ চমকে উঠলো। বলল
-তুমি!!! এই সময়ে বাসায় কেন?
-আমার বউ কে দেখতে ইচ্ছে করলো তাই চলে আসলাম।
-তাই এই সময়ে?
-তো কি হয়েছে।আজ একসাথে লানচ করবো।
-তুমি টেবিলে বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি।
-আমি নিয়ে আসছি।এখন থেকে তুমি কোন কাজ করবে না।
-আমি কাজ না করলে কে কাজ করবে?
-আমি কাজ করবো।
-কেন তুমি কাজ করবে?
-কারন তুমি কাজ করলে বাবুটার ক্ষতি হতে পারে।
-কিসের বাবু?
-কারন আমি বাবা হতে চলেছি।
-তোমাকে কে বলল?
-ভাবছ তুমি না বললে জানতে পারবো না?লিমা আমাকে ফোন করে সব বলেছে।
-কি!!! আগেই বলে দিয়েছে?আমি তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারলাম না।ওকে পাই কাছে ওর খবর আছে।
-ওর খবর করতে হবে না।
বলে ফুল গুলো হাতে নিয়ে হাটু গেড়ে রোমান্টিক ভাবে বউ কে ফুলগুলো দিয়ে বললাম
-আই লাভ ইউ।
-বাহ এত রোমান্টিক হয়ে?
-হ্যা। আমি তো তোমার জন্যই রোমান্টিক হবো।
-আই লাভ ইউ টু।
-তোমাকে চুমু খেতে ইচ্ছে করছে।
-এখন না।এখন থেকে বাবু দেখবে। তাই যখন তখন চুমু খাবে না।বাবু কি ভাববে?
-বাবু ভাববে তার বাবা অনেক রোমান্টিক। আর তার মা কে অনেক ভালবাসে।
-তাই। তাহলে আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরছি।
-হুম।
বউ আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপরে খেয়ে সারাদিন অনেক ঘুরলাম। অনেক ভাল লাগছে। ছোট বেলায় যখন কাউকে দেখতাম বাবা হওয়ার কথা শুনে খুশি হয়েছে।
আমি তখন ভাবতাম "বাবা হওয়ার আবার আনন্দ আছে?"
কিন্তু এখন দেখছি বাবা হওয়ার অনেক আনন্দ।এত আনন্দ লাগে কেন?
কোন মন্তব্য নেই