★ভালবাসা★

★ভালবাসা★

--------------------
>কিরে তুই নাকি নীলাকে ভালবাসিস?(সাবিনা)
>ভালবাসি কি না জানি না,তবে নীলাকে আমার অনেক ভালো লাগে।(তালহা)
>আরে পাগল কেমন ভালো লাগে?(সাবিনা)
>খুব বেশিই ভালো লাগে।(তালহা)
>তাহলে আমি নীলাকে বলি,তোর ভালবাসার কথা।(সাবিনা)
>আরে না,ও হয়তো অন্য কাওকে ভালবাসে।(তালহা)
>ওকে,তুই যা ভাল বুঝিস তাই কর।বাই দোস্ত,শুভ রাত্রি।(সাবিনা)
>বাই।(তালহা)
.
তালহা,সাবিনা আর নীলা খুবই ভালো বন্ধু।সেই প্রাইমারি থেকে শুরু করে হাই স্কুল পর্যন্ত তারা একসাথে পড়াশোনা করে আসছে।তারা কিছুদিন আগে হাই স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজের গন্ডিতে।কলেজেও তারা একসাথেই।
.
সব ঠিকঠাক চললেও,
তালহার হৃদয়ে যে নীলার প্রতি ভালবাসা জেগেছে।
তালহা যে নীলাকে অনেক ভালবাসে।নীলা দেখতেও অনেক সুন্দর।কলেজে যাওয়ার সাথে সাথে কয়টা যে প্রোপজাল পাইছে তার ঠিক নাই।
কিন্তু নীলা যে কারো প্রোপজাল গ্রহন করে না।যখন কেও নীলাকে প্রোপজ করে তখন তালহার অনেক কষ্ট হয়।
.
এভাবেই কাটছে কলেজের দিনগুলো।সাবিনা তো অনেক আগে থেকেই জানে যে তালহা নীলাকে ভালবাসে।কিন্তু সাবিনাও বিষয়টা নীলাকে বলতে পারছে না,কারন তালহা তাকে বলতে মানা করেছে।
.
কলেজ ক্যাম্পাসে বসে যখন তারা আড্ডা দেই তখন তালহা নীলার দিকে কেমন করে যেনো তাকিয়ে থাকে।নীলাও যেনো বিষয়টা একটু টের পাচ্ছে।
.
একদিন ক্যাম্পাসে,
>ওই তুই কি কারো ভালবাসিস?(নীলা)
>হুম,তোদের সবাইকে অনেক ভালবাসি,তবে তোকে একটু বেশি।(তালহা)
>আমাকে ভালবাসিস,হা হা হা।
আর মানুষ পাইলি না।আমার মত এই কয়লা সুন্দরিকে তুই ভালবাসিস।(নীলা)
>তোকে কে বলছে,যে তুই কয়লা সুন্দরি?(তালহা)
>আমি নিজেই বলছি।(তালহা)
>আর কখনো যেনো তোর মুখে ওই কথা টা না শুনি?(তালহা)
>কোন কথা।কয়লা সুন্দরি,কেনো কষ্ট হয় তোর,এই কথাটা শুনতে।(নীলা)
>হ্যাঁ,কষ্ট হয়।(তালহা)
>আচ্ছা যাই হোক রাতে ফেইসবুকে কথা হবে।এখন আমার ক্লাস আছে,বাই।(নীলা)
.
রাতে হঠাৎ নীল পরি নামে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসে তালহার।
মিচুয়াল লিষ্টে শুধুই সাবিনা।তাই তালহা রিকুয়েস্টটা গ্রহন করলো।
.
রাতে রিকুয়েস্টটা গ্রহন করার পরই তালহা ঘুমিয় পরলো।
.
সকালে তালহা কলেজ এ যেয়ে,
>ওই,সাবিনা,নীল পরি আইডিটা কার?(তালহা)
>আমার,নতুন আইডি।(সাবিনা)
>তুই আবার কবে পরি হলি,কালো ভূত তো তুই।(তালহা)
>হা হা হা(নীলা)
>ওই তুই হাসছিস কেনো।(তালহা)
>এমনি(নীলা)
>ওই,তুই আমারে ভূত বললি।(সাবিনা)
>আরে মজা করলাম,চল ক্লাসে যাই।(তালহা)
>চল।(সাবিনা ও নীলা)
.
রাতে হঠাৎ নীল পরি আইডি থেকে,
>আচ্ছা তুই কতটুকু ভালবাসিস নীলাকে?
>অনেক, অনেক, অনেক।(তালহা)
>এতো ভালবাসিস কেনো?
>ভালবাসতে ইচ্ছা করে তাই।(তালহা)
>ও যদি তোকে না ভালবাসে?
>তাও আমি ওকে ভালবাসবো,আজীবন ওকে ভালোবেসে যাবো।(তালহা)
>সারাজীবন ওকে নিয়ে সুখে কাটাতে পারবি তো?
>নীলা সুযোগ দিলে,অবশ্যই পারব।(তালহা)
>আচ্ছা,বাই,কাল কলেজে নীল পান্জাবি টা পরে আসবি।
>বাই,তবে কেনো,তোর তো নীল পান্জাবি পছন্দ নাই।(তালহা)
.
তালহা তো মনে মনে ভাবছে নীল পরি আইডিটা সাবিনার তো।সাবিনার তো নীল পান্জাবি পছন্দ হওয়ার কথা নাই।তাহলে কি আইডিটা নীলার।
.
সঙ্গে সঙ্গে সাবিনাকে ফোন দিলো তালহা,
>কিরে এতো রাতে ফোন?(সাবিনা)
>নীল পরি আইডিটা কার?(তালহা)
>নীলার।(সাবিনা)
>তুই আমাকে তাহলে মিথ্যা বললি কেনো,যে ওই আইডিটা আমার।(তালহা)
>নীলা বলতে বলেছিলো,তাই।(সাবিনা)
>কিসের জন্য?(তালহা)
>তুই নীলাকে কতটুকু ভালবাসিস,যাচাই করার জন্য।আচ্ছা ফোনটা রাখ,কাল কলেজে কথা হবে।(সাবিনা)
.
তালহার তো সারারাত ঘুম হলো না টেনশনে।সকালে পান্জাবি পরে কলেজের উদ্দ্যেশে রওনা হলো।কলেজে যেয়ে দেখলো সাবিনা আর নীলা ক্যাম্পাসে বসে গল্প করছে।
তালহা যাওয়ার সাথে সাথেই,
>কি রে, পান্জাবি পরে কলেজে।(নীলা)
>তোমার জন্য,ভালবাসি তাই।(তালহা)
>আমি তো ভাসি না তোকে ভালো?(নীলা)
>ওকে,আমি চলে গেলাম।(তালহা)
>আমারে নিয়ে যাও সাথে।(নীলা)
>তুমি তো আমারে ভালেবাসো না।(তালহা)
>ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি,এখন খুশিতো।(নীলা)
>হুম,অনেক খুশি।(তালহা)
>চলো আমরা ৩জন আজ সারাদিন ঘুরবো,অনেক অনেক মজা করবো।(নীলা)
.
এভাবেই তালহা আর নীলার দিনগুলো ভালবাসার খুনসুটির মাধ্যমে কাটতে লাগলো।
------সমাপ্ত------

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.