বাবা তোমায় মনে পড়ে
বাবা তোমায় মনে পড়ে
ঊনিশশ’ সাতাত্তর সাল
বাবার হলো এ কী হাল
ধরেছে ঘাতক রোগ
যন্ত্রণায় কাতর বুক।
বাবার হলো এ কী হাল
ধরেছে ঘাতক রোগ
যন্ত্রণায় কাতর বুক।
দেহে বইছে পদ্মার ঢেউ
থামাতে পারছে না কেউ
দাও একবার শুইছে
বালিশে খানিকটা নুইয়ে।
থামাতে পারছে না কেউ
দাও একবার শুইছে
বালিশে খানিকটা নুইয়ে।
এবার ধরে একটু তোলো
বাবার এ কী হাল হলো
যাও ঈদের নামাজ পড়ো
এসে পশু জবাই করো।
বাবার এ কী হাল হলো
যাও ঈদের নামাজ পড়ো
এসে পশু জবাই করো।
বাবাকে এই হালে রেখে
জামায় একটু সুগন্ধি মেখে
নামাজে হলো যাওয়া
হলো না ফিরনি খাওয়া।
জামায় একটু সুগন্ধি মেখে
নামাজে হলো যাওয়া
হলো না ফিরনি খাওয়া।
ছয় তাকবিরে দুই রাকাত
ওয়াজিব হলো সারা
এসে দেখি বাবাকে এবার
যমদূত করছে তাড়া।
ওয়াজিব হলো সারা
এসে দেখি বাবাকে এবার
যমদূত করছে তাড়া।
জিলহজ মাসের দশ তারিখ
রোববার সকাল বেলা
বাবা আমার নিলেন বিদায়
সাঙ্গ জীবনের খেলা।
রোববার সকাল বেলা
বাবা আমার নিলেন বিদায়
সাঙ্গ জীবনের খেলা।


কোন মন্তব্য নেই