আবুল- ছকিনার প্রেমলিলা....
আবুল- ছকিনার প্রেমলিলা....
.
.
ছকিনা:- না না না বাজান আমি আবুইল্লারে ছাড়া বাচুম না...
.
ছকিনার বাপ:- এই কতা মুখেও আনিস না মা। আবুইল্লাহ তোরে কিচ্ছুই দিবার পারবোনা। ওর তো কিচ্ছুই নাই....
.
ছকিনা:- চাইনা। আমি কিচ্ছু চাইনা বাজান... আমি খালি আবুইল্লারে চাই....
.
ছকিনার বাপ:- দেখ মা, ভুল করতাছোস। ওহ তোরে পোশাক-আশাক, খাবার-দাবার কিচ্ছু দিবার পারবো না।
.
ছকিনা:- না না না বাজান... আমার নামি-দামি পোশাক-আশাক, খাবার-দাবার আমার কিচ্ছু চাইনা। আমি আমার আবুইল্লারে চাই....
.
ছকিনার বাপ:- দেখ মা, বুঝবার চেষ্টা কর। পাগলামি করিস না। ওর চেয়ে মিলা ভালা পোলার লগে আমি তোর বিয়া দিমু। তোরে মিলা সুখে রাখবো হেতে...
.
ছকিনা:- লাগবোনা। আমার কিচ্ছু লাগবোনা। আবুইল্লারে লইয়া আমি ফুতপাতে থাহুম, এক কাপড়ে সারাজীবজন কাটামু তবুও আমি আমার আবুইল্লারে চাই-ই চাই বাজান। জীবন, মরন, যৌবন সব যে ঐ আবুইল্লা'র....
.
ছকিনার বাপ ছকিনার পাগলামির কাছে হার মেনে ঘর থেকে বাহির হইয়া মনে মনে বললো, "খারা তো পাগলামি ছুটাইতাছি বিয়া দিয়া... ৩ মাসের ভিতরই বিদেশি ঐ পোলার লগে বিয়া দিমু....
.
২ মাস পর ছকিনা আর আবুলের ফোনালাপ;
.
ছকিনা:- জান আবুইল্লাহহহহহ। আমারে তুমি নিয়া যাও। বাজান আমারে জোর কইরা পয়সাওয়ালা পোলার লগে বিয়া দিতাছে। মুই তোমারে ছাড়া বাঁচুম না...
.
আবুল:- না না না ছকিনা। এ হইতে পারেনা। তুমি খালি আমার। আর কারো না...
.
ছকিনা:- ওগো ডাইলোগ কম মাইরা আমারে তোমার কাছে নিয়া যাও। এইহানে আমার দম বন্ধ হইয়া আইতাছে।
.
আবুল:- ইয়ে মানে ইয়ে সোনা। মুই তোমারে আইনা রাহুম কোনহানে? খাওয়ামু কি?
.
ছকিনা:- তুমি আমারে যেইহানে রাখবা ঐহানে থাকমু। রাস্তায় রাখলে রাস্তায় থাকমু। দুইজন দুইজনের দিকে চাইয়া সারাজীবন না খাইয়া কাটাইয়া দিমু। তোমারে ছাড়া আমার কিচ্ছু চাইনা। তুমি আমারে নিয়া যাও তোমার কাছে। তোমারে না পাইলে আমি বিষ খামু, পানিতে ঢুইবা মরমু। হেলিকাপ্টারে গলায় ফাস দিমু...
.
আবুল:- ওগো আমারো না হেলিকাপ্টারে চরার মিলা সখ। ফাঁস দেয়ার সময় আমারে নিবা?
.
ছকিনা:- ধুত্তরি বেডা, ঐডা তো কথার ঠেলায় বাইর হইয়া আইছে। তয় সত্যিই গলায় ফাঁস দিয়া মরুম কইয়া দিলাম...
.
আবুল:- না না না ছকিনা। এই কতা তুমি ভুলে মুখেও আনবানা। তুমি আমার জান, তুমি প্রিরান, তুমি আমার কেথা, বালিশ সম্ভল কম্বল সব। তুমি মইরা ভেটকাই গেলে, আমার কি ওইবো কও?
.
ছকিনা:- ওগো একটিং বেশি হইয়া যাইতাছে। কতা কম কইয়া আমারে তুমি নিয়া যাও তারাতারি।
.
আবুল:- আমিও নিজেরে সামলাবার পারিনাই সোনা। তয় খারাও তুমি। খারাও ছকিনা। আমি ওহনি আইয়া তোমারে লইয়া যাইতাছি। তুমি রেডি হও......
.
অতঃপর পলাতক দুইজনে।
.
ছকিনার বাপও আর খোজ-খবর নিলোনা মাইয়ার। কারন তিনি বুঝতে পারছেন, জোর কইরা বিয়া দিতে যাওয়া ঠিক হয় নাই। তাই মাইয়া তার মুখে চুন কালি দিয়া ভাগছে...
.
.
বিয়ের ১ বছর পর.....
.
আবুল:- ছকিনা... ছকিনা... ঐ সালি কই গেলি তুই? ভাত দিলি তরকারি কই? ভাত কি শুধা খামু?
.
ছকিনা:- এরে ফহিন্নির ঘরে ফহিন্নি। তরকারি কি তোর বাজান আইসা দিয়া গেছে ঘরে? যে তরকারি চাস? শুধাই গিল..
.
আবুল:- কি কইলি চুতমারানি? তুই আমার মরা বাপ নিয়া কথা কইলি? খারা আইজ তোর একদিন কি আমার একদিন....
.
অতঃপর শুরু ধুম-ধাম, ধুম-ধাম....
.
ছকিনা ওরে বাবারে, ওরে মারে কইয়া চিল্লানি। বস্তির সব মানুষজন ঠেকাঠুকাই আধমরা অবস্থায় ছকিনারে রক্ষা করলো।
.
আবুলের হাত থাইকা রেহাই পাইয়া ছকিনা আবার শুরু করলো চিল্লানি:- মিনছার ঘরের মিনছা। বিয়ার আগে যারে জান পরাণ কইয়া মুখ দিয়া ফ্যান তুইলা ফেলতি। তারে এমনে মারতে তর লজ্জা লাগেনা। বিয়ার পরে কি দিছোস তুই আমারে যে মারোস? ভালো একখান কাপড় কিনা দিবার পারোস নাই, ছুনু-পাউডার কিচ্ছু দিবার পারোস নাই।
বাজান আমার ভালাই কইছিলো তুই আস্ত একটা ফহিন্নি। তুই আমারে কিচ্ছু দিবার পারবিনা। বাজানের কথা না হুইনা(শুনে) কি যে ভুল করছি আল্লাহরেএএএএ.......
.
আবুল:- চুপ কর চুতমারানি। তুইও তো কত কইছিলি "তোমারে পাইলে আমার কিচ্ছু চাইনা"। ফুতপাতে থাহুম তোমারে লই। না থাকলে না খাইয়া আমারে দেইহা কাটাইবি। গেলো কই তোর ঐ কথাবার্তা সালির ঘরের সালি। আবার চিল্লাস তুই..........
.
আবারো শুরু ধুম-ধাম,,ধুম-ধাম,,ধুম-ধাম.....
.
[বিঃদ্রঃ প্রাসঙ্গিক কারনে ভাষা খারাপের জন্য দুঃখিত। আবেগের বশতায় যাদের পালিয়ে বিয়ের প্লান আছে, লেখাটি তাদের জন্য। মজার ভিতর যদি একটু শিক্ষা নেয়া যায় ক্ষতি কি তাতে]


কোন মন্তব্য নেই