তুই বুঝবি না।
অনেক্ষন হলো অফিসের চারপাশে ঘুর ঘুর
করছি।ভাবছি ভিতরে যাবো আবার ভাবছি না
যাওয়া যাবে না।শুধু আজ না প্রায় ১৫-২০ দিন
হলো অফিসের চারপাশে ঘুর ঘুর করি কিন্তু
ভিতরে যাওয়া হয় না।ভিতরে না যাওয়ার
কারন দুইটা।প্রথমত অফিসের ভিতরে ঢুকতে
হলে আই,ডি কার্ড দরকার যেটা শুধু যারা
অফিসে চাকুরী করে তাদের থাকে।যেহেতু
আমি এই অফিসে চাকুরী করি না তাই আমার
আই,ডি,কার্ড নেই। আর দ্বিতীয়ত অফিসে
ঢুকলে কার সাথে দেখা করতে এসেছি তার
রেফারেন্স লাগে।আপাতত কোনো টাই আমার
কাছে নেই।কারন অফিসে যার সাথে দেখা
করতে যাবো সে আমাকে চিনবে কিনা এটা
নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ!কারন ৫ বছর পর স্মৃতির
পাতা সবার এক থাকে না।তবে একবার
অফিসে ঢুকে তার সাথে দেখা করলে মন্দ
হতো না!
.
পরের দিন আবারো অফিসের চারপাশে ঘুর ঘুর
করছি। ভাবছি আজ অফিসে ঢুকবোই।তাই
অফিসে গেলাম।গেটে যেতেই দারোয়ান
জেরা শুরু করলো,
> আই,ডি কার্ড দেন।
:-আমার কাছে আই,ডি কার্ড নেই।আমি
এসেছি একজনের সাথে দেখা করতে।
>কার সাথে?
:-অহনার সাথে।
> অহনার ম্যামের কি হন আপনি?
:-বন্ধু।
যাক অল্পতেই ছাড়া পেলাম।অফিসের ভিতরে
গিয়ে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছি।অফিসের
এক ক্লার্ক কে বলেছি অহনা কে আমার কথা
বলতে।কিছুক্ষন বাদে ক্লার্ক এসে বললো
ম্যাম আপনাকে ভিতরে ডাকছে।
কিছু অজানা অনুভুতি অহনার রুমের দিকে
চললাম।ভাবছি চিনবে কিনা।যেই রুমের
ভিতরে প্রবেশ করলাম তখনি অহনা বলে
উঠলো,
>তুষার তুই???
:-হ্যা।চিনেছিস?
>চিনবোনা কেন???কে,এইচ,তুষার বলে কথা!
:-ভাবছিলাম হয়তো ভুলে গেছিস।
>সবাই তোর মতো না।নে এখানে বস।কেমন
আছিস?
:-বেঁচে আছি,এখনো মরি নি।তুই?
>এখনো সেই আগের ডায়লগ দিচ্ছিস!আমি
ভালো আছি।তুই এতোদিন পর আমার খোজ
পেলি কিভাবে?
:-প্রায় ২০ দিন আগে তোকে অফিসের সামনে
গাড়ি থেকে নামতে দেখেছি।তারপর
প্রতিদিনে তোর অফিসের বাইরে আসতাম।
>ভিতরে আসিস নি কেন???
:-ভাবছিলাম এতোদিন পর হয়তো ভুলে গেছিস।
তাই আর ভিতরে আসি নি।
>তুই সেই আগের মতোই আছিস।তো কি করছিস
এখন?
:-এইতো একটা প্রাইভেট ফার্মে জব করছি।
>বিয়ে করেছিস?
:-না।তুই?
>না।
:-তোর তো এতোদিনে বিয়ে করার কথা।
>হুম।তবে না করার ও কারন আছে।
:-কি?
>সেটা পরেই বুঝবি।চল এখন বাইরে যাই।
.
অহনার সাথে বাইরে বেরিয়ে পরলাম।দুজনে
কিছু সময় ঘুরে ফিরে একটা পার্কে গিয়ে
বসলাম।
দুজনেই চুপচাপ।আমি ভাবছি পুরনো কিছু কথা।
তখন স্কুলে পড়তাম।খুব ভালোবাসতাম অকে।
কিন্তু কখনো বলা হয় নি যদি বন্ধুত্ব টাই নষ্ট
হয়ে যায় এই কারনে।তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে
কিছু বন্ধুরা বলতো অহনাও নাকি আমার
মতোই!!!!!!
হঠাৎ অহনার ডাকে ভাবনায় ছেদ পরলো,
:-কিরে কি ভাবছিস?
>কই কিছু না।
:-একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
>কর।
:-তুই কি কাউকে ভালোবাসিস?
>না।
:-কখনো ভালোবাসতি?
>হুম।
:-সোহেল বলেছিলো তুই নাকি আমাকে---------
(সোহেল আমাদের স্কুল জীবনের বন্ধু।)
>কি?
:-ভালোবাসিস।
>হ্যা।
:-কখনো বলিস নি তো
>ভেবেছিলাম তুই বুঝে নিবি।
:-না বললেই কিভাবে বুঝবো?
>এখন তো বুঝছিস।
:-এখনো বাসিস?
>হ্যা।তুই?
:-এখনো বিয়ে করি নি!
>এটা কেমন উত্তর?
:-বুঝে নে!
>সরাসরি বল
:-বিশ্বাস ছিলো তুই ফিরে আসবি।
>তাই!
:-হ্যা।ভালোবাসি কিনা জানি না তবে তোর
জন্য বিয়ে করি নি!!!!
>এটা কেমন কথা?
:-তুই বুঝবি না।
আবারো দুজনেই চুপ।পার্ক থেকে বেরিয়ে
হাটতে লাগলাম।কখন যে দুজনের হাত এক হয়ে
গেছে সেটা খেয়াল নেই!
করছি।ভাবছি ভিতরে যাবো আবার ভাবছি না
যাওয়া যাবে না।শুধু আজ না প্রায় ১৫-২০ দিন
হলো অফিসের চারপাশে ঘুর ঘুর করি কিন্তু
ভিতরে যাওয়া হয় না।ভিতরে না যাওয়ার
কারন দুইটা।প্রথমত অফিসের ভিতরে ঢুকতে
হলে আই,ডি কার্ড দরকার যেটা শুধু যারা
অফিসে চাকুরী করে তাদের থাকে।যেহেতু
আমি এই অফিসে চাকুরী করি না তাই আমার
আই,ডি,কার্ড নেই। আর দ্বিতীয়ত অফিসে
ঢুকলে কার সাথে দেখা করতে এসেছি তার
রেফারেন্স লাগে।আপাতত কোনো টাই আমার
কাছে নেই।কারন অফিসে যার সাথে দেখা
করতে যাবো সে আমাকে চিনবে কিনা এটা
নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ!কারন ৫ বছর পর স্মৃতির
পাতা সবার এক থাকে না।তবে একবার
অফিসে ঢুকে তার সাথে দেখা করলে মন্দ
হতো না!
.
পরের দিন আবারো অফিসের চারপাশে ঘুর ঘুর
করছি। ভাবছি আজ অফিসে ঢুকবোই।তাই
অফিসে গেলাম।গেটে যেতেই দারোয়ান
জেরা শুরু করলো,
> আই,ডি কার্ড দেন।
:-আমার কাছে আই,ডি কার্ড নেই।আমি
এসেছি একজনের সাথে দেখা করতে।
>কার সাথে?
:-অহনার সাথে।
> অহনার ম্যামের কি হন আপনি?
:-বন্ধু।
যাক অল্পতেই ছাড়া পেলাম।অফিসের ভিতরে
গিয়ে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছি।অফিসের
এক ক্লার্ক কে বলেছি অহনা কে আমার কথা
বলতে।কিছুক্ষন বাদে ক্লার্ক এসে বললো
ম্যাম আপনাকে ভিতরে ডাকছে।
কিছু অজানা অনুভুতি অহনার রুমের দিকে
চললাম।ভাবছি চিনবে কিনা।যেই রুমের
ভিতরে প্রবেশ করলাম তখনি অহনা বলে
উঠলো,
>তুষার তুই???
:-হ্যা।চিনেছিস?
>চিনবোনা কেন???কে,এইচ,তুষার বলে কথা!
:-ভাবছিলাম হয়তো ভুলে গেছিস।
>সবাই তোর মতো না।নে এখানে বস।কেমন
আছিস?
:-বেঁচে আছি,এখনো মরি নি।তুই?
>এখনো সেই আগের ডায়লগ দিচ্ছিস!আমি
ভালো আছি।তুই এতোদিন পর আমার খোজ
পেলি কিভাবে?
:-প্রায় ২০ দিন আগে তোকে অফিসের সামনে
গাড়ি থেকে নামতে দেখেছি।তারপর
প্রতিদিনে তোর অফিসের বাইরে আসতাম।
>ভিতরে আসিস নি কেন???
:-ভাবছিলাম এতোদিন পর হয়তো ভুলে গেছিস।
তাই আর ভিতরে আসি নি।
>তুই সেই আগের মতোই আছিস।তো কি করছিস
এখন?
:-এইতো একটা প্রাইভেট ফার্মে জব করছি।
>বিয়ে করেছিস?
:-না।তুই?
>না।
:-তোর তো এতোদিনে বিয়ে করার কথা।
>হুম।তবে না করার ও কারন আছে।
:-কি?
>সেটা পরেই বুঝবি।চল এখন বাইরে যাই।
.
অহনার সাথে বাইরে বেরিয়ে পরলাম।দুজনে
কিছু সময় ঘুরে ফিরে একটা পার্কে গিয়ে
বসলাম।
দুজনেই চুপচাপ।আমি ভাবছি পুরনো কিছু কথা।
তখন স্কুলে পড়তাম।খুব ভালোবাসতাম অকে।
কিন্তু কখনো বলা হয় নি যদি বন্ধুত্ব টাই নষ্ট
হয়ে যায় এই কারনে।তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে
কিছু বন্ধুরা বলতো অহনাও নাকি আমার
মতোই!!!!!!
হঠাৎ অহনার ডাকে ভাবনায় ছেদ পরলো,
:-কিরে কি ভাবছিস?
>কই কিছু না।
:-একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
>কর।
:-তুই কি কাউকে ভালোবাসিস?
>না।
:-কখনো ভালোবাসতি?
>হুম।
:-সোহেল বলেছিলো তুই নাকি আমাকে---------
(সোহেল আমাদের স্কুল জীবনের বন্ধু।)
>কি?
:-ভালোবাসিস।
>হ্যা।
:-কখনো বলিস নি তো
>ভেবেছিলাম তুই বুঝে নিবি।
:-না বললেই কিভাবে বুঝবো?
>এখন তো বুঝছিস।
:-এখনো বাসিস?
>হ্যা।তুই?
:-এখনো বিয়ে করি নি!
>এটা কেমন উত্তর?
:-বুঝে নে!
>সরাসরি বল
:-বিশ্বাস ছিলো তুই ফিরে আসবি।
>তাই!
:-হ্যা।ভালোবাসি কিনা জানি না তবে তোর
জন্য বিয়ে করি নি!!!!
>এটা কেমন কথা?
:-তুই বুঝবি না।
আবারো দুজনেই চুপ।পার্ক থেকে বেরিয়ে
হাটতে লাগলাম।কখন যে দুজনের হাত এক হয়ে
গেছে সেটা খেয়াল নেই!


কোন মন্তব্য নেই